প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আচরণে অসন্তুষ্ট এসইসি

বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অপরিণত আচরণ করছেন। শেয়ারের দাম কমে গেলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো অনেক প্রতিষ্ঠানও বিক্রির দিকে ঝুঁকে পড়ে। এর ফলে বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যাচ্ছে এবং বাজারের দরপতন আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে। এ ধরনের প্রবণতা পুঁজিবাজারের জন্য নেতিবাচক।বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সৃষ্ট আতঙ্ক দূর করার ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।মার্চেন্ট ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান পৃথক কোম্পানিতে পরিণত হওয়ায় ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ গ্রহণের পদ্ধতি কঠিন হয়ে পড়েছে। এ কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মার্জিন ঋণের হার বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একক গ্রাহকের জন্য নির্ধারিত ঋণ সীমা সংক্রান্ত নির্দেশনা মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের জন্য শিথিল করা হলে মার্জিন ঋণ বাড়ানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করা সহজ হবে। 
জানুয়ারি মাসে ১২ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ কার্যদিবসেই সূচকের পতন হয়েছে। এর মধ্যে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর পর পর দুদিন সূচকের বড় ধরনের পতন হয়। এর মধ্যে ৯ ডিসেম্বর একদিনে ডিএসসিতে সূচকের পতন হয় ৬০০ পয়েন্ট। পরদিন ৫০ মিনিটের মাথায় সূচক ৬৬০ পয়েন্ট পড়ে গেলে ডিএসসি’র ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়। এসইসি, ডিএসসি এবং সরকারের প্রতিনিধি যৌথ বৈঠকে বসে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ শেষে পরদিন পুনরায় লেনদেন শুরু হয়। ১১ জানুয়ারিতে অস্বাভাবিক হারে সূচক ১ হাজার পয়েন্ট বাড়ে। পরদিন আরও প্রায় ২শ’ পয়েন্ট বাড়লেও এরপর থেকে পর পর তিন কার্যদিবস সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে। ডিএসসি’র সূচক গত ৫ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ যেখানে প্রায় ৯ হাজার পয়েন্টে পৌঁছেছিল, কয়েক দফায় তা কমে গতকাল দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৭৭ পয়েন্টে।  
Mr. Nurol Azam Sayem
Analyst.Data.
CMRWD
January 18, 2011